জনগণের মাঝে গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা দেখছে বিএনপি

জনগণের মাঝে গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা দেখছে বিএনপি

নতুন বছরকে জনগণের বিজয়ের বছরে পরিণত করতে চায় বিএনপি। এজন্য ৯০ এর মতো আরেকটি গণঅভ্যুত্থানের প্রয়োজনীয়তার কথাও বলছে দলটি।

নেতারা বলছেন, আওয়ামী লীগের টানা তিন মেয়াদের শাসনে জনগণের মাঝে যে ক্ষোভ জমেছে তার প্রতিফলন রাজপথেও পড়ছে। যা সরকার পতনে বড় আন্দোলনের ভিত গড়েছে বলেও মনে করেন তারা।

সময়ের ব্যবধান প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির দূরত্বকে বাড়িয়ে তুললেও নতুন বছরে সব সমীকরণ পাল্টে দিতে চায় বিএনপি।

বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ‘এ দেশের শতকরা ৯৯ জন লোক এই সরকারকে চায় না। এখন কিভাবে করবে এই বরখাস্ত। রাষ্ট্র যখন নির্মম হয়ে যায়, তখন তো একটা গণঅভ্যুত্থান ছাড়া কোনো উপায় থাকে না। সেই গণঅভ্যুত্থান আমরা করব এবং তার লক্ষণ দেখতে পাচ্ছি।’

বিএনপি বলছে, জনগণের ভোটাধিকার রক্ষায় আরো বেশি ত্যাগ স্বীকার করে হলেও নতুন বছরে মাঠে থাকবে প্রতিটি নেতাকর্মী।

বিএনপি’র চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান বলেন, ‘এই সরকারকে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে। অবশ্যই নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। এবং সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে। যদি এর মধ্যে সরকার সেটা না করে, সরকারের শুভবুদ্ধি উদয় না হয়, তাহলে সেই ৯০ এর চেতনায় এই ঢাকায়, বাংলাদেশে ২০২৩ সালে আরেকটি গণঅভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে সরকারকে বিদায় নিতে হবে।’

বিএনপির নীতি নির্ধারকরা জানালেন, জনমনে সরকার পরিবর্তনের যে হাওয়া বইছে তার শান্তিপূর্ণ বাস্তবায়নের প্রচেষ্টাই থাকবে নতুন বছরে।

বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, ’বাংলাদেশের শাসনব্যবস্থায় পরিবর্তন প্রয়োজন। যে পরিবর্তনের মাধ্যমে এ দেশের মানুষ এক দলীয় শাসন থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্রে ফিরে যেতে পারবে। সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন চাই। আমরা প্রত্যাশা করছি, এ বছর আমরা সেই মানুষের আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবে রূপ দিব।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *