ব্রাজিলের কিংবদন্তি ফুটবলার পেলের শেষকৃত্যের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হচ্ছে আজ। এরই মধ্যে সাও পাওলোর অ্যালাবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতাল থেকে তার মরদেহ সরিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
তিনবারের বিশ্বকাপজয়ী এই ফুটবলারের জন্য রাজকীয় শেষকৃত্যের আয়োজন করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য সোমবার ২৪ ঘণ্টা তার মরদেহ রাখা হবে ফুটবল ক্লাব সান্তোষের মাঠে। জার্সির পাশাপাশি ফুল, ব্যানার, ছবি হাতে কিংবদন্তিকে শ্রদ্ধা জানাতে ভিলা বেলমিরো স্টেডিয়ামে জড়ো হতে শুরু করেছেন হাজারো মানুষ।
মঙ্গলবার তাকে শ্রদ্ধা জানাবেন ব্রাজিলের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট লুলা। পরে, নিজ শহর সান্তোষেই সমাহিত করা হবে তাকে।
বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে ব্রাজিলের সাও পাওলোর আলবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে শারীরিক নানা জটিলতায় আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ফুটবল সম্রাট।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। ব্রাজিল কিংবদন্তির মেয়ে কেলি নাসিমেন্তো ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ক্যানসারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই লড়েছিলেন এ কিংবদন্তি। কাতার ফুটবল বিশ্বকাপ চলাকালে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। সেখানে থেকেই দেখেছেন কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিলের ছিটকে পড়া। মাঝখানে শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি ঘটলেও তা স্থায়ী হয়নি। ক্যানসার ছাড়াও কিডনি ও হৃদযন্ত্রের সমস্যায় ভুগছিলেন ফুটবলের কালো মানিক।
ব্রাজিলের এক বস্তিতে ১৯৪০ সালে জন্ম হয়েছিল এডসন অ্যারান্তেসের। বিশ্ব তাকে চেনে ’পেলে’ নামে। দারিদ্র্যের কারণে ছোট বয়সে চায়ের দোকানে কাজ নিতে হয়েছিল তাকে। কিন্তু হৃদয়ে ছিল ফুটবল।
ব্রাজিলের আর দশটা সাধারণ ছেলের মতোই গলির ফুটবল ছিল তারও অবসরের সঙ্গী। কিন্তু সত্যিকারের ফুটবল কেনার টাকা ছিল না বলে মোজার ভেতরে খবরের কাগজ ঠেসে বানানো ফুটবলে চলত তার অনুশীলন। তবে পেলের ছিল সহজাত প্রতিভা।