ভর্তুকির ওপর চাপ কমাতেই নেওয়া হয়েছে পাইকারি বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অর্থনীতি ও বিদ্যুৎ খাতের বর্তমান পরিস্থিতি দাম বাড়ানোর অনুকূলে নয়। অন্যদিকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলছেন, পাইকারি বিদ্যুতের দামের প্রভাব ভোক্তা পর্যায়ে পড়বে না।
দেশে বিদ্যুতের সেবার যখন বেহাল দশা, সেই সময়ে দাম বৃদ্ধির যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিশেষজ্ঞরা। বলছেন, উৎপাদক পর্যায়ে দাম বাড়লে, দু’দিন আগে-পরে ভোক্তাদের ওপর প্রভাব পড়বেই।
দেশজুড়ে চলছে লোডশেডিং। জ্বালানি সঙ্কটে বিদ্যুতের উৎপাদনও কমেছে। এরইমধ্যে পাইকারি বা উৎপাদক পর্যায়ে বাড়ানো হচ্ছে বিদ্যুতের দাম। গেল মে মাসের বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলরটরি কমিশন -বিইআরসির শুনানির তথ্য অনুযায়ী, ৬৬ শতাংশ দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব করে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী জানান, ভর্তুকী কমানোর চাপ রয়েছে। তবে দাম সমন্বয়ের সিদ্ধান্ত বিইআরসির।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য বলছে, গত অর্থবছরে ৯ টাকা উৎপাদন খরচের প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ গড়ে ৫ টাকা ৯ পয়সার বিক্রি করেছে সংস্থাটি।