বছরের প্রথম দিনে সারাদেশে বই উৎসব করা হলেও বেশিরভাগ স্কুলে এখন পর্যন্ত পৌঁছায়নি শতভাগ বই। শতভাগ বই পৌঁছতে লেগে যেতে পারে পুরো মাস।
কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দুয়েকটি শ্রেণির শিক্ষার্থীরা একটি বইও পায়নি। তবে শিগগিরই বই পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। বৈশ্বিক মন্দার কারণে কাগজ সংকট এবং এনসিটিবির দরপত্র প্রক্রিয়ার জটিলতায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক উভয় স্তরেই ২০-৩৫ শতাংশ বই সময়মত ছাপানো সম্ভব হয়নি।
রাজধানীর গেন্ডারিয়া মহিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী তানজিলা আক্তার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে প্রাথমিকের কেন্দ্রীয় বই বিতরণ উৎসবে শিক্ষকদের সঙ্গে এসেছিল সে। চোখেমুখে ছিল তার নতুন বইয়ের অপেক্ষা। কিন্তু পরক্ষণেই মুখখানি তার মলিন হয়ে যায়। বই উৎসবে তার হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয় দ্বিতীয় শ্রেণির বাংলা বই। শুধু তানজিলা নয়, পঞ্চম শ্রেণির এমন অনেক শিক্ষার্থীকেই অন্য ক্লাসের বই দেওয়া হয়েছে। আর সে কারণে বই উৎসবে এসেও নতুন বই না পেয়ে অনেক শিক্ষার্থী মুখভার করে ঘরে ফিরেছে।
এদিন তানজিলার সঙ্গে বই উৎসবে আসেন তার মা মানসুরা আক্তার। মেয়ে নতুন বই না পাওয়ার আক্ষেপ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, মেয়ের নতুন বই নিয়ে বাসায় যাবো বলে বই উৎসবে এলাম। এসে দেখি আশায় গুড়েবালি। দ্বিতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের একটি করে নতুন বই দিলেও পঞ্চম শ্রেণির কোনো শিক্ষার্থী বছরের প্রথম দিন নতুন বইয়ের ঘ্রাণ পায়নি। তাদের খালি হাতেই ঘরে ফিরতে হয়েছে।
এদিকে, প্রথম ও দ্বিতীয় এবং ষষ্ঠ ও সপ্তম চার শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী পাঠদান শুরু হয়েছে। তবে এখনও শিক্ষকদের পরিপূর্ণ প্রশিক্ষণ দেয়া সম্ভব হয়নি।