পাকিস্তানের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের দাপুটে জয়

ত্রিদেশীয় সিরিজে আগের ম্যাচে হারের মধুর প্রতিশোধ নিল নিউজিল্যান্ড। নিজ দেশের মাটিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে হারের দগদগে ক্ষত নিয়ে আজ শুরু থেকেই আগ্রাসী ভূমিকায় ছিলেন কেন উইলিয়ামসনরা। শেষ পর্যন্ত বোলিং ব্যাটিং ও ফিল্ডিং তিন বিভাগেই দাপট দেখিয়ে বাবর আজমদের হারালো নিউজিল্যান্ড।

পাকিস্তানের দেওয়া ১৩১ রানের মামুলি টার্গেট ভেদ করতে কোনো বেগ পেতে হয়নি কিউই ব্যাটারদের। হেসেখেলে ৯ উইকেটে হারিয়েছে স্বাগতিকরা। এই জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন দুই ওপেনার অ্যালেন ফিন ও ডেভন কনওয়ে। তাদের ১১৭ রানের জুটি জয়ের বন্দরে পৌছে দেয় কিউই তরী।

দুই ওপেনার অ্যালেন ফিন ও ডেভন কনওয়ে শুরু থেকে দুর্দান্ত খেলে যাচ্ছিলেন। তাদের জুটি অনেকটাই অপ্রতিরুদ্ধ হয়ে উঠেছিল। পাকিস্তানি বোলারদের বুকে কাঁপন ধরিয়ে দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন অ্যালেন ও কনওয়ে।

১৪তম ওভারে শাদাব খান ব্রেক থ্রু এনে দেন। তার বলে স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হন অ্যালেন। তখন নিউজিল্যান্ডের স্কোরবোর্ডে জমা হয়ে গেছে ১১৭ রান। জয় থেকে আর মাত্র ১৪ রান দূরে তারা।

আউট হওয়ার আগে ৪২ বলে ৬২ রানের একটি অসাধারণ ইনিংস উপহার দিয়ে যান অ্যালেন। শাদাবের বলটি বড় শট খেলে সামনের দিকে এগিয়ে গিয়েছিলেন অ্যালেন। ব্যাট-বলে হয়নি। সুযোগ কাজে লাগিয়ে স্ট্যাম্প ভেঙে দেন রিজওয়ান।

এরপর মাঠে নামেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। বাকি পথ পাড়ি দিতে উইলিয়ামসন ও কনওয়ের কোনো বেগ পেতে হয়নি।

৩ ওভার ৫ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌছে যায় নিউজিল্যান্ড। ৪৬ বল খেলে ৪৯ রান করেন কনওয়ে। আর তার সঙ্গে অপরাজিত থাকা উইলিয়ামসন ৯ রান করেন।

এর আগে পাকিস্তান আগে ব্যাট করে ১৩০ রানে তুলে ৭ উইকেটে। ক্রাইস্টচার্চে মঙ্গলবার টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা মোহাম্মদ রিজওয়ান ইনিংস বড় করতে পারেননি (১৭ বলে ১৬)। তবে বাবর আর শান মাসুদ জুটি গড়ার পথেই ছিলেন।

অষ্টম ওভারে ১ উইকেটে ৫৪ রান ছিল পাকিস্তানের। সেখান থেকে আর ২৩ রান তুলতে আরও ৪ উইকেট হারিয়ে বসে আনপ্রেডিক্টেবলরা। শান মাসুদ (১২ বলে ১৪), শাদাব খান (৭ বলে ৮), বাবর আজম (২৩ বলে ২১), হায়দার আলি (১১ বলে ৮) অল্প সময়ের মধ্যে ফিরে গেলে চাপে পড়ে পাকিস্তান।

১৩.২ ওভারে ৭৭ রানে ৫ উইকেট হারানো দলকে এরপর টেনে তোলার দায়িত্ব নেন আসিফ আলি আর ইফতিখার আহমেদ। তাদের জুটিতে আসে ৩৫ বলে ৫১ রান। ২৭ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ২৭ করে আউট হন ইফতিখার। তবে আসিফ শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন, ২০ বলে ৩ বাউন্ডারিতে করেন ২৫ রান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *